বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার হার্টে ব্লক থাকার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তবে করোনারি এনজিওগ্রাম করে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. শেখ ফয়েজ আহমেদ।
তিনি বলেন, গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম করি এবং রক্ত পরীক্ষা করি। ইসিজিটা মোটামুটি আছে, তবে ইকো দেখে যেমনটা বুঝলাম, সম্ভবত ওনার একটা করোনারি এনজিওগ্রাম লাগবে। যেহেতু তিনি ডায়াবেটিসের রোগী, পাশাপাশি অনেকদিন ধরেই তার হাইপারটেনশন রয়েছে, তাই আমরা আজকে ওনার একটা এনজিওগ্রামের সাজেস্ট করবো। ওনার চিকিৎসায় যে বোর্ড রয়েছে, সবাই মিলে বসেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরোও পড়ুন: আমার মূল লক্ষ্য অভিনয়ে: অর্চিতা স্পর্শিয়া
ইকো বা ইসিজিতে হার্টে কোনো ব্লক পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ডা. ফয়েজ আহমেদ বলেন, হার্টে ব্লক থাকার আশঙ্কা আছে। চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিক এটাই আমরা আশঙ্কা করছি। এনজিওগ্রাম করে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, তাকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে বলা হয়েছে। আমরা বলেছি, চাইলে আপনি হাসপাতালে থাকতে পারেন, কিন্তু তিনি বাসায় থাকতে চান। আমরা বলেছি বাসায় থাকলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জরুরি কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে চলে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সোমবার চার দিনের সফরে নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ড. মোমেনের। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শেষ মুহূর্তে এ সফর বাতিল করতে হয় বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
রীতি অনুযায়ী দেশের সরকারপ্রধান যখন কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে যান, সে সফরে তার সঙ্গী হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেক রাষ্ট্রীয় সফরে ছিলেন মোমেন। এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কোনো সফরে থাকছেন না তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।